ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। প্রবীণ নবীনের সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গন।
২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এ কমিটি অনুমোদন দেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। ২০২২ সালের ৩ ডিসেম্বর সম্মেলন হয়। সম্মেলনে জেলায় এহতেশামুল আলম ও মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। মহানগরে ইকরামুল হক টিটু ও মোহিত উর রহমান শান্তকে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এর ১০ মাস পরে দুটি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদিত হলো।
জেলা ও মহানগর কমিটিতে ১১ জন করে সহ সভাপতি, ৩ জন করে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন করে সাংগঠনিক সম্পাদক, ২ জন করে উপ দপ্তর উপ প্রচার সম্পাদক দেয়া হয়েছে। ৩৬ জন করে সদস্য রাখা হয়েছে।
জেলা কমিটিতে ২ নং সহ সভাপতি করা হয়েছে মমতাজ উদ্দিন মন্তাকে। সহ সভাপতি পদে যোগ হয়েছেন ফারুক আহমেদ খান ও সাবেক যুবলীগ নেতা অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ারকে। ব্যবসায়ী আমিনুল হক শামীমকে এবার রাখা হয়েছে ৪ নং সহ সভাপতি পদে। তিনি গত কমিটিতে ৩ নং সহ সভাপতি ছিলেন। এ কমিটিতে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক করা হয়েছে জি এস মোতাহার হোসেন লিটুকে, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রাখা হয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জাহান চৌধুরী শাহীনকে। কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম নুরুন্নাহার শেফালীকে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে স্থান করে নিয়েছেন দুঃসময়ের ছাত্রলীগ সভাপতি শরীফ হাসান অনু। সদস্য হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
গত কমিটির সহ সভাপতি পদে থাকা অনেকেই পুনরায় স্বপদে ফিরেছেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে এবার সহ সভাপতি হয়েছেন হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু। সদস্য পদ থেকে পদোন্নতি পেয়ে ৯ নং সহ সভাপতি হয়েছেন আনোয়ারা খাতুন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সহধর্মিণী।
মহানগর কমিটিতে ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে জেলা যুবলীগের আহবায়ক এড আজহারুল ইসলামকে। সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন শাকিল রানা চৌধুরী প্রবাল। ৩ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন সম্পাদক পদে এসেছেন ২৬ জন। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হককে, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাব্বির ইউনুস বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন এড. মাহবুবুল হক বাবলু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হক পান্না, দপ্তর সম্পাদক এড. সুমন চন্দ্র ঘোষ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগ সদস্য জসিম উদ্দিনকে, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক করা হয়েছে জেলা যুবলীগ সদস্য আসাদুজ্জামান রুমেলকে, উপ দপ্তর ও উপ প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে যথাক্রমে শাহানুর আলম শান্ত ও রিয়াজুল ইসলাম রাসেলকে। সাংগঠনিক সম্পাদক ৩ করা হয়েছে গত কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড তাজুল ইসলাম খোকনকে। কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান খান তানিকে।
পূর্ণাঙ্গ মহানগর কমিটিতে ৩৬ সদস্য পদে অপেক্ষাকৃত তরুণদের প্রধান্য দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে ছাত্রলীগ থেকে আসা যুবলীগের তরুণদের ঠাই দেয়া হয়েছে মহানগর সদস্য পদে। ১ নং সদস্য করা হয়েছে সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে, ৩ নং সদস্য করা হয়েছে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক হোসেনকে। গত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর শহীদ উদ্দিনকে ২ নং সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বিপ্লবকে এবার ৫ নং সদস্য পদে রাখা হয়েছে। সদস্য পদে এসেছেন ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম শফিক। গত কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতনকে ৪ নং সদস্য রাখা হয়েছে। সদস্য করা হয়েছে সাবেক শহর ছাত্রলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন আরিফকে। সদস্য হয়েছেন এড. সিকান্দার আলী, অটো ভুখারী, মোফাখখর হোসেন খোকন, সাংবাদিক ইব্রাহিম মুকুট, সাবেক শহর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রাজ্জাক উষাণ, সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দেবনাথ পান্না, জেলা যুবলীগ সদস্য সুপ্রিয় রায় ও জুবায়ের হোসেন জনি।
জেলায় ২৭ ও মহানগরে ৩১ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য রাখা হয়েছে ।